"মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প পৃথিবী থেকে পায়ে হেঁটে চাঁদে গিয়েছিলেন।" বাক্যটি পড়ার পর এর সত্যতা নিয়ে আমাদের মনে নানা রকম প্রশ্নের উদয় হতে পারে। এবং, হওয়াটাই স্বাভাবিক।
এক পক্ষ বিষয়টিকে হয়তো এভাবে বিবেচনা করতে পারে, "হ্যাঁ, এটি সম্ভব, কারণ তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন রাষ্ট্রপতি, বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক, ব্যাপক ক্ষমতা তার, ট্রাম্পের পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব।"
অপরপক্ষ বিষয়টির সত্যতা নিয়ে এভাবে মন্তব্য করতে পারে, "ভুয়া কথা, এ কখনো হয় নাকি? পৃথিবী থেকে চাঁদের কি হেটে যাওয়া যায়? পৃথিবী থেকে চাঁদে কি সাঁকো লাগানো আছে? যত সব আজগুবি কথা।"
রাতের আকাশ
ছবি: গ্রেগ রাকোজি

তবে, এই লেখায় প্রথম বাক্যটি নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে, বাস্তবতার নিরিখে অন্য ভাবে বিশ্লেষণ করি চলুন।



সঠিক এবং সত্যতা

বাক্যের সংজ্ঞা অনুযায়ী একাধিক পদ পাশাপাশি বসে অর্থ প্রকাশ করেছে বিধায় উপরোক্ত বাক্যটি বাক্য হিসেবে সঠিক, কিন্তু বাক্যটিতে প্রকাশিত ঘটনার বিবরণ, পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যস্থ কোন পায়ে হাঁটার পথ বা পরিবেশ না থাকার কারণে ঘটা ঘটনা হিসেবে প্রমাণযোগ্য সত্যতা হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
আর এই কারণে, উক্ত বাক্যটিকে আমি সত্য হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও, উক্ত বাক্যটিকে মানুষের মনগড়া নেহায়েত একটি লিখিত বাক্য হিসেবে স্বীকৃতি দেই।

বিশ্বাস যোগ্যতা

কোন কিছুতে বিশ্বাস স্থাপন করা, বা, না করা, মানুষের ব্যক্তিগত অধিকারের বিষয়। তবে, কোন বিষয় যদি বাস্তব ভিত্তি শূন্য, বা, প্রমাণিত সত্যতা না থাকা সত্বেও যদি মানুষের মনে বিশ্বাস যোগ্যতা পায়, তখন উক্ত বিষয়ে বিশ্বাস ব্যক্তির অন্ধবিশ্বাস হিসেবে গণ্য হয়।
প্রথম বাক্যটিকে বিশ্বাস করতে পারি রূপক কথা বা রূপকথা হিসেবে, কিন্তু সত্য ঘটনা হিসেবে নয়।

বাস্তবতা

বিজ্ঞান মতে, পৃথিবী এবং চন্দ্র নিজ নিজ কক্ষপথে ঘূর্ণমান, এবং এদের অবস্থান ক্রমাগত পরিবর্তনশীল এবং এই দুই গ্রহের মাঝে কোনো পায়ে হাঁটার রাস্তা নির্মিত নাই।  তাছাড়া মহা শূন্যের পরিবেশ, মানুষের হাঁটার উপযোগী নয় তাই এই এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে পায়ে হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়।

তাই, উপরোক্ত বাক্যটি নিছক একটি বাক্য বৈ বেশি কিছু নয়।

আরো পড়ুন: সত্য সন্ধান, আরিফুর রহমানের সংলাপ: ১